ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে এসিসিএফের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

যশোরে এসিসিএফের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (এসিসিএফ) যশোর শাখা এক এফডিআর গ্রাহকের সঙ্গে দু’বছর ধরে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। পাওনা ১৫ লাখ টাকার জন্য তিনি বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ বলছেন, কোম্পানি সমস্যায় আছে, তবে অচিরেই গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে। যশোর শহরের খড়কী মধ্যপাড়ার রফিকুল ইসলাম আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের একজন গ্রাহক। তিনি বলেন, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্সের প্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুল আলম রুবেলের কথায় বিশ্বাস করে কয়েক দফায় সাত লাখ ৭০ হাজার টাকার এফডিআর গ্রাহক হন। মূল টাকার দিগুণ দেয়া হবে প্রলোভনে পড়ে বাড়ির জিনিসপত্র, গরু, ছাগল এমনকি জমি বিক্রি করে টাকা রাখেন আজিজ কো-অপারেটিভে। প্রত্যেকটি এফডিআরের বিপরীতে আজিজ কো-অপারেটিভ তাকে চেক ইস্যু করে। কিন্তু বেশিরভাগ এফডিআর মেয়াদপূর্ণ হলেও টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে। সব মিলিয়ে তিনি এখন ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাবেন বলে জানান। তাকে সাতটি চেক দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা না পরিশোধ করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে টাকা রাখলেও তাকে আজ পর্যন্ত একটি টাকাও দেয়া হয়নি। দু’বছর আগে কয়েকটি এফডিআর মেয়াদ পূর্ণ হলেও টাকা না দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে মাসের পর মাস। টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। তার টাকা ফেরত না দিলেও আজিজ কো-অপারেটিভের অনেকের ভাগ্য পাল্টে গেছে। টাকার জন্য গেলে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুল আলম রুবেল ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোশারফ খারাপ ব্যবহার করছেন। তিনি জানান, তার পাড়ার আরও ৫/৬ জনের টাকা নিয়ে প্রতারণায় নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগের ব্যাপারে কথা হয় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড যশোরের শাখার ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন ও প্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুল আলম রুবেলের সঙ্গে। তারা জানান, স্বচ্ছতা ও আইন মেনে চলছে আজিজ কো-অপারেটিভের যশোর শাখা। যশোর শাখার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মূলত এখন শূন্য। টাকা আটকাপড়ে আছে ঢাকাতে। অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে। সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে। রফিকুলের টাকাও দেয়া হবে, তাকে ৫০ হাজার টাকার একটি এফডিআর পরিশোধের প্রস্তুতিও চলছে।
×