ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিটু বিতর্কে আবারও কাঠগড়ায় ডান্স কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মিটু বিতর্কে আবারও কাঠগড়ায় ডান্স কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য

অনলাইন ডেস্ক ॥ #মিটু বিতর্কে আবারও কাঠগড়ায় ডান্স কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য। দিন কয়েক আগে নৃত্যশিল্পী দিব্যা কোটিয়ান অভিযোগ জানিয়েছিলেন, গণেশ তাঁকে জোর করে পর্ণ ছবি দেখাতেন। এ বার এক সিনিয়র ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার গুরুতর অভিযোগ আনলেন ‘সিম্বা’, ‘সঞ্জু’ ছবির ডান্স কোরিওগ্রাফার গণেশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি তিনি জাতীয় মহিলা কমিশনকেও জানিয়েছেন। ওই নৃত্যশিল্পীর বয়ান অনুযায়ী, “প্রায় তিন যুগ আগের কথা। সালটা ১৯৯০। আমি পশ্চিম আন্ধেরির সাহিবা হলে নাচ শিখতে যেতাম। আমার বয়স তখন আঠেরোর কাছাকাছি। আমার গুরু কমল মাস্টারকে অ্যাসিস্ট করত গণেশ। এক দিন গণেশ আমায় ফোন করে ক্লাসে যেতে বলে। ওর বন্ধু দিলীপ আমায় খার সাবওয়ে থেকে গাড়িতে তুলে হোটেল ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্টে নিয়ে যায়। আমার তখনও পর্যন্ত কিছু খারাপ মনে হয়নি।” এখানেই শেষ হয়নি। ওই নৃত্যশিল্পী আরও জানান, “গিয়ে দেখি ওই ঘরে আর কোনও ছাত্রছাত্রী নেই। এমন সময় গণেশ ঘরে ঢোকে। নাচ শেখানোর নামে আমার ঘাড়ে, গালে চুমু খেতে শুরু করে। যখন বাধা দিতে যাই তখন আমায় সে বলে, আমাকে বিয়ে করতে চায়। বলেই বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে আমার সারা শরীরে অশ্লীল ভাবে ছুঁতে থাকে। আমি চিৎকার করতে থাকি, ওকে জানাই আমার পিরিয়ড চলছে। ঠিক তখনই গণেশ রেগে গিয়ে ছেড়ে দেয় আমায়। বলে, ক্যায়া ইয়ার মুড খারাব কর দিয়া। আমি হোটেল থেকে পালিয়ে যাই আর কোনওদিন ক্লাসে ফিরে যাইনি।” কিন্তু ৩০ বছর পর এসে এই ঘটনার কথা শেয়ার করার কথা ভাবলেন কেন তিনি? সেই নৃত্যশিল্পী জানান, সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা স্বামী ছাড়া আর কাউকে তিনি এত দিন জানাননি। কিন্তু দিব্যার অভিজ্ঞতা শুনে তাঁর মনে হয়েছে আর চুপ করে থাকার কোনও মানে হয়না। তাই সবার সামনে সত্যি তুলে ধরেছেন তিনি। যদিও সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন গণেশ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তাঁর ইমেজ নষ্ট করার জন্যই নাকি এগুলো করা। পরোক্ষে মাস্টারজি সরোজ খানকেই দায়ী করেছেন গণেশ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×