ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘মহানগরীতে গৃহকর পুনঃমূল্যায়নে ঢাকার সিটি কর্পোরেশনকে অনুমতি’

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘মহানগরীতে গৃহকর পুনঃমূল্যায়নে ঢাকার সিটি কর্পোরেশনকে অনুমতি’

সংসদ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মহানগরীতে গৃহ কর পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। উভয় সিটি কর্পোরেশনে অটোমেশনের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক গৃহ কর পুনর্মূল্যায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ দুটি সিটি কর্পোরেশনে সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত এলাকায়ও গৃহকর মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমাজয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সর্বদা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছে। এক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানি অর্থাৎ গভীর নলকূপের পানি ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। আর ভূ-উপরিস্থ অর্থাৎ পানি শোধনাগারের (নদীর) পানি প্রি-ট্রিটমেন্টসহ কমপক্ষে তিন স্তরে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। তিনি জানান, কখনো কখনো পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে পানি দূষণের ঘটনা ঘটে, যা নিরসনে ঢাকা ওয়াসা ট্রেন্সলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিএমএ চালু করে সমস্ত পুরনো পাইপ লাইন পরিবর্তনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সড়ক বাতির খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবলের সংযোগ প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে উক্ত খুঁটিতে অবৈধ ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপসারণের দায়িত্ব ডিপিডিসি এবং ডেসকো কর্তৃপক্ষের। এছাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক খুঁটি হতে নিয়মিত অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়। সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের অপর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনে পানির চাহিদার পরিমাণ দৈনিক ২২৫ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ঢাকা ওয়াসার পানি সবরাহের সক্ষমতা দৈনিক ২২৫ কোটি লিটার। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পানির সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ লাখ অর্থাৎ শতকরা ২৯ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।
×