ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদপুর ও পল্লবীতে দুই শিশু ধর্ষিত

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 মোহাম্মদপুর ও  পল্লবীতে  দুই শিশু  ধর্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও পল্লবীতে দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের একটির বয়স ৭, অপরটির ১১ বছর। হাসপাতাল সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুরে খেলা থেকে তুলে নিয়ে ৭ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। সকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুটির মা-বাবার অভিযোগ, তারা ওই এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। সকালে শিশুটির বাবা বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। আর মা রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় শিশুটি দুতলাতেই খেলাধুলা করছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে দ্বিতীয় তলায় তাদের পাশের বাসায় গেলে ওইখানে এক কিশোর তাকে ফাঁকা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাসায় ফিরে বাথরুমে যায়। তখন কিছু একটা আঁচ করতে পেরে বাথরুমে শিশুটিকে দেখতে যায় তার মা এবং দেখেন শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তখন জিজ্ঞেস করলে ঘটনা বলে সে। এরপর তার পরিবার দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। অভিযোগে শিশুটির পরিবার জানায়, তাদের পাশের বাসায় নানা-নানির সঙ্গে থাকে ১৭ বছরের এক কিশোর। তাকে সবাই মার্বেল বলে ডাকে। সে ছেলেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে ওসিসিতে ভর্তি করেছেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদপুর থানায় জানানো হয়েছে। এদিকে মিরপুরের পল্লবীতে একটি বাসায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (১১) এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, মিরপুর ১২ পল্লবী ব্লক ৩ এলাকার একটি বাসায় তার মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি। মেয়েটির বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। বিভিন্ন কাজের জন্য মা যখন বাইরে যেত বাসায় একাই থাকত মেয়ে। গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি বাইরে গেলে বাসায় একাই ছিল মেয়ে। তখন বাড়িওয়ালার ছেলে কামাল (৪০) বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তিনি বাসায় এলে মেয়ের কাছে ঘটনা জানতে পারেন। তবে তিনি এ কথা থানায় জানাননি। এরপর ১৬ জানুয়ারি একইভাবে গোসলখানায় ঢুকে শিশুটিকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল কামাল। তখন তিনি বাসায় ঢুকে দেখতে পেয়ে পরে থানায় যান। তবে পুলিশ তাদের হাসপাতালে যেতে বলেছিল। কয়েকদিন ধরে শিশুটি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি নেন। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, জানুয়ারি মাসে শিশুটির মা অভিযোগ নিয়ে এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিয়ে নেই। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কামালকে গ্রেফতারের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। প্রথমে শিশুটির মা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিল ওই প্রতিবন্ধী শিশুটি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
×