ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আপনারা হচ্ছেন সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আপনারা হচ্ছেন সরকার ও জনগণের মধ্যে  সেতুবন্ধন ॥ রাষ্ট্রপতি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ চলমান অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের বিকাশ টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সোমবার বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজের ভাষণে বলেন, ‘আপনারা হচ্ছেন সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন। তাই এই বন্ধন যত বেশি মজবুত ও দৃঢ় হবে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশও তত বেশি টেকসই হবে।’ খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। জনগণ অনেক আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে আপনাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন। তাই আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া-পাওয়া খুবই সীমিত। অল্পতেই তারা খুশি হন। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা থাকে প্রয়োজনের সময় তারা যেন তাকে কাছে পায়। তাই আপনারা নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং জনগণের প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে দাঁড়াবেন। এতে দল ও সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ও যোগাযোগ মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। আবদুল হামিদ বলেন, বিরোধী দল সংসদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাদের গঠনমূলক সমালোচনা ও ভূমিকা সংসদকে কার্যকর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ও বিগত সংসদে সরকারী ও বিরোধী দল সংসদকে কার্যকর করতে যে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সংসদ হয়ে উঠবে সরকারের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র এগিয়ে যাবে একই সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন বিশ্বে রোল মডেল। সংসদ সদস্য হিসেবে আপনারাও এই সাফল্যের গর্বিত অংশীদার। জনগণ যাতে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল ভোগ করতে পারে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব। ভাষণের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা আন্দোলনের সৈনিক এবং বিভিন্ন সময় দেশ ও জাতির জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা যোগ দেন। এর আগে ৭টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি হামিদ ও তাঁর পত্নী রাশিদা খানম তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দরবার হলে প্রবেশ করেন এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে সম্প্রতি তাঁর ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং স্পেন সফর নিয়ে আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।’ প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর পত্নী রাশিদা খানম এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যোগ দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম, স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
×