ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইনে সেনা ও বিদ্রোহীর মধ্যে গোলাগুলি

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রাখাইনে সেনা ও বিদ্রোহীর মধ্যে গোলাগুলি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ৩৯ ও ৪০ নং পিলার বরাবর মিয়ানমার সীমান্তে অভ্যন্তরে দেশটির সেনা বাহিনী-পুলিশ ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মিদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ভোররাত ৩টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাইশফাড়ি সীমান্ত বরাবর ওপারে (মিয়ানমার) নারাইনশং, কক্ষদইঙ্গা ও তোয়াইঙ্গা পাড়া এলাকায় গুলির শব্দ শুনা গেছে বলে সীমান্তে বসবাসকারী ও জিরো লাইনে অবস্থানকারী একাধিক রোহিঙ্গা নেতা জানিয়েছেন। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও রাখাইসের পিএইউইনডিও এলাকায় রাখাইন যুবকদের ছুরিকাঘাতে আবুল ফয়েজের পুত্র রাজু (২১) নামে এক রোহিঙ্গা বুধবার সকালে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কেউ কেউ নিহত রোহিঙ্গাকে আরাকান বিদ্রোহী বলে দাবিকরছে। বুধবার সকালে সীমান্ত এলাকা ঘুরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য। তুমব্রু জিরো লাইনে অবস্থানকরা রোহিঙ্গারা বলেন, এ ঘটনায় দেশটির অভ্যন্তরে অতিরিক্ত সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিপি মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। তাছাড়া তুমব্রু-বাইশফাঁড়ি সীমান্ত এলাকা জুড়ে স্থাপন করেছে বাঙ্কার ও অসংখ্য নিরাপত্তা চৌকি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে অভয় দিয়ে বিজিবি জওয়ানরা নিয়মিত টহল জোরদার করেছে। উখিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্র-ভাজাবনিয়া, মগপাড়া, বাইশফাড়ি সীমান্তের ৩৯ ও ৪০ নং পিলারের ওপার মিয়ানমারের নারাইনশং কক্ষদইঙ্গা ও তোয়াইঙ্গা পাড়া এলাকায় মিয়ানমার সেনা ও সে দেশের বিদ্রেুাহী আরাকান আর্মিদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত রাখাইনে ব্যাপক গুলির শব্দ শুনা গেছে। রাপখাইনের পিএইউইনডিও এলাকায় মগ সম্প্রদায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রাজু নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। যার কারনে শূন্য রেখায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা আতঙ্কে দিন যাপন করছে। ঘুমধুম বাইশপারী গ্রামের বাসিন্দা মৌলবি নুরুল আবছার জানান, বুধবার সকাল থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে হঠাৎ করে ব্যাপক গুলির শব্দ শুনা গেছে। প্রতিদিন রাতে মিয়ানমারের বিজিপি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। এতে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
×