ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এম এইচ উল্লাহ

উপদ্রবের নাম দূষণ

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  উপদ্রবের নাম দূষণ

এখন দিনে দিনে বাড়ছে নগর মহানগরে দূষণের মাত্রা। এতে জনজীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার শিকার হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা মহানগরী এখন এই দুর্দশার আবাসস্থল। এখানে অগণিত লোকের বসবাস। এত ছোট জায়গায় এতবেশি মানুষ পৃথিবীর অন্য কোন শহর-নগরে বসবাস করে না। আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা এতই বেশি যে, মানুষের জীবন এখানে দিনে দিনে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এই নগরীতে বসবাসকারী মানুষ বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণ, আবহাওয়া দূষণসহ নানাবিধ দূষণের শিকার হয়ে প্রতিদিনই নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অথচ এ সবের হাত থেকে অসহায় মানুষকে রক্ষা করার জন্য নেয়া হচ্ছে না যথোপযুক্ত ব্যবস্থাÑ এটা বড়ই দুঃখজনক। পানি দূষণের শিকার হয়ে মানুষ আমাশয় কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি জটিল রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে অথচ এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এই নগরের মানুষ এখনও বায়ুদূষণের শিকার হয়ে অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকেও নানা ধরনের ভাইরাস দেশে ঢুকছে। ঘর থেকে বের হলেই অনেক দূষণের আলামত আমাদের নজরে পড়ে। রাস্তার পাশে যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ দেখতে পাওয়া যায়। সিটি কর্পোরেশনের ডাস্টবিন রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ডাস্টবিনের ময়লা উপচিয়ে পড়ে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এরপরেও আছে মশা-মাছির উপদ্রব। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া মশাবাহিত রোগ অথচ মশক দমনে নেই তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা। পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ এসবের হাত থেকে বাঁচার উপায় কি? কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নগরবাসী এসব দূষণের হাত থেকে বাঁচতে পারবে সে বিষয়ে গবেষণা করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে মানুষকে এই দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দেখা যায় হাসপাতাল ও স্কুলের সামনে হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণের মতো মারাত্মক অপরাধ ঘটানো হয়, এই ধরনের অপরাধ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ইটভাঁটির কালো ধোঁয়ার গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগরের পরিবেশ অনবরত বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। শুধু তাই মানুষ নানাবিধ দুরারোগ্য রোগ যেমন- ক্যান্সার, হৃদরোগ, চর্মরোগসহ আরও অনেক দুরারোগ্য রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে। তাই পরিবেশ দূষণকারী ইটভাঁটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, তবে বিকল্প ব্যবস্থায় গৃহনির্মাণ সামগ্রী তৈরি কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধু আন্দোলন-সংগ্রাম করলেই চলবে না। দূষণজনিত সমস্যাগুলোর স্থায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা সকলে মিলে বের করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের হাতকে শক্তিশালী করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে তবেই দেশ থেকে দূষণের মতো মহাযন্ত্রণা দূর করা যাবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×