ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা উত্থানের পর মূল্য সংশোধনের ধারায় ফিরেছে শেয়ারবাজার। অল্প দামে কেনা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ায় বৃহস্পতিবারে শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২৪ পয়েন্ট। সূচকটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০ পয়েন্ট। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে যা ৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। বুধবারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ২৪৩টির। অপরিবর্তিত আছে ২৯টির দর। ডিএসইতে বৃহস্পতিবারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতের এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বুধবারের চেয়ে বেড়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দিন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম হয় ২৯৫ টাকা ৬০ পয়সা। চাহিদা বাড়ায় এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর বিক্রেতাশূণ্য অবস্থায় পৌঁছেছিল। আগামী সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনের। আপিল বিভাগ এই অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে সোমবার গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ দিন নির্ধারণ করেন। এই রায়ের পর পুঁজিবাজারে দর বাড়ে গ্রামীণফোনের শেয়ারের। অথচ সকালে শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয়েছিল নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে। কিন্তু দিনশেষে সেটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয় শেয়ারে পরিণত হয়। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিবিএস কেবলস, সামিট পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সায়হাম টেক্সটাইল। খাতভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ছাড়া সবকটি ব্যাংকের দর কমেছে। সবচেয়ে ভাল করেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট ৭৫ ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। এরপরেই রয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর দর হারিয়েছে বেশি। গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে দর বাড়তে থাকা ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ারের দর কমেছে। তবে গ্রুপটির কোহিনূর কেমিক্যালের দর বেড়েছে। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল রি রোলিং মিলস লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল স্টিল, হাক্কানি পাল্প, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, এমএল ডায়িং, মেঘনা সিরামিকস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও এস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড। ডিএসইতে দর কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো সিএপিএম ও বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড, তাল্লু স্পিনিং, সোনালি আঁশ, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, প্রাইম ব্যাংক ফাস্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, আইসিবি এএমসিএল সোনালি ব্যাংক লিমিটেড মিউচুয়াল ফান্ড, ওরিয়ন ফার্মা ও ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অন্যদিকে, সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির দর।
×