ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বর্জ্য-বিদ্যুতে সহায়তা

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 বর্জ্য-বিদ্যুতে সহায়তা

আধুনিক ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তিসহ পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পরামর্শ ও নির্দেশনা আসে। পরিবেশবান্ধব নগর-শহর তৈরিতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করা সময়ের দাবি। শুধু তাই নয়, কেউ কোন প্রতিষ্ঠান যদি পরিত্যক্ত বিপুল বর্জ্য থেকে বিদ্যুত উৎপাদনে আগ্রহী হয়, তা হলে তাকে বিশেষ সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেকের এই সভায় ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকার বাজেট পরিকল্পনায় এসব প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্যোগ নেয় একনেক। সরকারী তহবিল, বিদেশী অর্থায়ন এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা সম্মিলিতভাবে এই বৃহৎ অঙ্কের অর্থ যোগান দেবে। বর্তমান সরকারের আরও একটি মহাপরিকল্পনা পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক শহর-নগর জনগণকে উপহার দেয়া। ফলে দেশের বিভিন্ন নগর ও শহরে আধুনিক পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসম্মত আর দূষণমুক্ত শহর বন্দর-নগর তৈরিতে অপরিকল্পিত পাহাড়সম বর্জ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে উন্নয়নে সেটাও কাক্সিক্ষত ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অন্তরায়। তাই অনাকাক্সিক্ষত বর্জ্যকে পরিহার করতে আধুনিক বিদ্যুত নির্মাণ কেন্দ্রের বিকল্প নেই। মূলত প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চান জনঘনিষ্ঠ এক পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য, নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে। অপরিচ্ছন্ন, দূষণপূর্ণ বর্জ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। আর এই বর্জ্য অব্যবস্থাপনাকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়ে তাকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এ ব্যাপারে অনেক ধরনের প্রস্তাব ও সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। বিশেষ করে অনেক বিদেশী সংস্থা এই বিপুল বর্জ্য প্রতিদিন সংগ্রহ করে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যাপারে শুভ ইঙ্গিত দিয়েছে। তেমন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকারও তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষায়ও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। জনগণকে বিপন্ন অবস্থায় ফেলে দেয়াও মানা হবে না। পরিবেশবান্ধব এবং জনঘনিষ্ঠ বিদ্যুত উৎপাদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব জলাশয় অপরিচ্ছন্নতার আবর্তে থাকে, সেখানেও পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিবেশ গড়ে তুলতে হবে। আর ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্কতা এবং সাবধানতা নিতে হবে। যাতে আপৎকালীন সময়ে দ্রুত নৌচলাচল ব্যবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। সে সব স্থানে জরুরী ঘাট নির্মাণও একান্ত আবশ্যক, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের ধারাবাহিকতাকে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের বাজেটও এই সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও অর্থ সহায়তার পরামর্শও গৃহীত হয় সভায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর প্রচেষ্টায় উন্নয়ন প্রকল্পের যে চিত্র দৃশ্যমান, তাকে আরও বেগবান এবং নতুন কর্মযোগে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
×