ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চরাঞ্চলে চীনা বাদামের ফলন বেড়েছে

প্রকাশিত: ১০:১৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 চরাঞ্চলে চীনা বাদামের ফলন বেড়েছে

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার চরাঞ্চলে চীনা বাদামের চাষ এবং ফলন এবার অনেকটাই বেড়েছে। এতে করে কৃষকরা চরাঞ্চলের বেলে দোআঁশ মাটিতে আবার নতুন করে বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য যে, গাইবান্ধা জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত ২০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে আগে বাদামের চাষ হতো অনেক বেশি। কিন্তু বাদামের চাহিদা এবং উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় যথাযথ মূল্য না পেয়ে কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহ হারিয়েছিল। এ বছর চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গাইবান্ধা জেলার উল্লেখিত নদী বেষ্টিত ১৬৫টি চরে বন্যা পরবর্তী বালুময় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর চীনা বাদামের চাষ হয়েছে। চীনা বাদাম রোপণের পর অন্য ফসলের মতো সেচ, পরিচর্যার ও রাসায়নিক সারের খুব বেশি প্রয়োজন না হওয়ায় চীনা বাদাম চাষে উৎপাদন অনেকটাই কম। ফুলছড়ি উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চরের জমিতে এবার ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করা হয়েছে। এসব চরে বাসন্তী, সিংগা সাইস্টোর, বারী চীনা বাদাম-৫, বারী চীনামাদা-৬ সহ স্থানীয় জাতের বাদামের চাষই বেশি করা হয়েছে। চরাঞ্চলের প্রান্তিক চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরের প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে বাদাম উৎপাদন হয় ২০ থেকে ২৪ মণ। প্রতিমণ বাদামের বাজার মূল্য ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকেরা বিঘাপ্রতি লাভ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের চরে এ বছর বাদামের আবাদ ও উৎপাদন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদামের দানা পুষ্ট হয়েছে।
×