ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভবিষ্যত চাকরির বাজারে প্রযুক্তির দাপট থাকবে

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ভবিষ্যত চাকরির বাজারে  প্রযুক্তির দাপট থাকবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা বাঞ্ছনীয়। মাঠ পর্যায়ের কৃষি থেকে শুরু করে সব কাজেই এখন প্রযুক্তির দাপট। আর ভবিষ্যত চাকরির বাজারেও প্রযুক্তির দাপট থাকবে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জরিপে জানা গেছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে করা যুক্তরাজ্যে ভবিষ্যত চাকরির বাজার কেমন হবে, এমন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুটিন বেস কাজগুলো ক্রমেই কমে আসছে। সফটওয়্যার তথা প্রযুক্তিবিষয়ক পেশাগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা এখনও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১০-২০১৯ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রযুক্তি সম্পর্কিত কাজ। একজন মানুষ যদি প্রযুক্তি বিষয়ে খুব বেশি জানে তাহলে ভবিষ্যত চাকরির বাজারে সে নিরাপদ। প্রতিবেদনে ২০টি বর্ধমান পেশার তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এর গবেষক ফ্যাবিয়ান ওয়ালেস স্টেপেন্স বলেন, ‘প্রোগ্রামার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপারের পেশাই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপরেই রয়েছে আইটি ডিরেক্টরস ও বিজনেস এ্যানালিস্টের পেশা।’ ওয়ালেস বলেন, ‘এ সেক্টরে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে ৭২ শতাংশ। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে প্রোগ্রামার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপারের পেশার পাশাপাশি বেড়েছে নার্স, স্কুল শিক্ষক ও সেবাদাতাদের পেশাও। প্রযুক্তি বিষয়ে জানলেও ভবিষ্যতের চাকরি বাজার নিয়ে আশার বাণী ও সাবধান করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। তারা বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩৩ মিলিয়ন নতুন পদ সৃষ্টি হলেও ৭৫ মিলিয় চাকরিচ্যুত হতে পারে। তবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এ প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যকেন্দ্রিক হলেও বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে যে প্রযুক্তির দাপট থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়তই প্রযুক্তি বিষয়ক পেশার নতুন পদের সৃষ্টি হচ্ছে। অতএব এটা বলা যায় যে, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ভবিষ্যত চাকরির বাজার থাকবে প্রযুক্তির দাপটে।
×