ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর ২৪ দিন

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আর ২৪ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাকি আর ২৪ দিন। এর পরই শুরু হয়ে যাবে মুজিববর্ষ। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বড় উপলক্ষ বলেই পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত টানা উদ্যাপন করা হবে। জানা যায়, প্রথম দিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে দুই লাখ মানুষ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেভাবেই চলছে প্রস্তুতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করারও কথা রয়েছে তার। আলোচনা ছাড়াও এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একই দিন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন টুঙ্গিপাড়ায়। সেখানে তাঁরা অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জাতীয় শিশু দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজন। অনুষ্ঠানে এক শ’ শিশু সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১০০টি পায়রা অবমুক্ত করা হবে। ওড়ানো হবে ১০০ বেলুন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিবর্ষ উপলক্ষে আরও কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের ১০০ শিক্ষার্থীর লেখা নিয়ে প্রকাশিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সঙ্কলন। অনুষ্ঠানে জাতির জনকের ছবি অঁাঁকবে শিশুরা। এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে মেধাবী শিশুদের মাঝে ১০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে, উদ্যাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরে হবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’। সম্প্রতি প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তিনি জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পূর্বাচল শহর প্রকল্পের ৪ ও ৫ নম্বর সেক্টরের সংযোগস্থলে এ চত্বর নির্মাণ করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতাকে ঢাকার বাইরের একটি চত্বরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাকে সবাই সাধুবাদ জানাচ্ছেন এমন নয়। সমালোচনাও হচ্ছে। কারও কারও মতে, জন্মশতবর্ষের তাৎপর্যটা আগে বুঝতে হবে। সেটি বোঝার জন্য সময় না দিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে যাওয়া অনুচিত। মুজিববর্ষে এমন স্থূল প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ আরও অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু যারা শোনার, তারা কি শুনবেন সাধারণের এ পরামর্শ?
×