ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে লাইন বেহাল ॥ ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 কুড়িগ্রামে লাইন বেহাল ॥ ঝুঁকি নিয়ে  চলছে ট্রেন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম থেকে তিস্তা পর্যন্ত রেল লাইনে মারাত্মক ঝুঁকিতে দীর্ঘদিন ট্রেন চলাচল করছে। এ রুটে কুড়িগ্রাম টু পার্বতীপুর স্বাধীনতার পর থেকে ৩-৪টি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করত। কিন্তু রেল লাইনের সমস্যা ও লোকসানের মুখে সেসব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি মাত্র ট্রেন সকাল সন্ধ্যা নিয়মিত যাতায়াত করছে। পাশাপাশি সম্প্রতি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালু হয় এ রুটে। ঢাকাগামী এ ট্রেনটি ৯ থেকে ১০ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছার কথা থাকলেও প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষ ট্রেন যাতায়াতে ইতোমধ্যেই বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর পর্যন্ত রমনা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম, কাউনিয়া, তিস্তা ও রংপুরসহ দশটি রেল স্টেশন রয়েছে। রেল লাইনের সমস্যা ও লাইনের মাঝে মধ্যে কোন গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় এ রুটে চলাচলকারী ট্রেন। স্টেশন মাস্টারও নেই কোন কোন স্টেশনে। এরূপ জোড়াতালি দিয়ে চলছে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনসহ একটি লোকাল ট্রেন। কুড়িগ্রাম নতুন রেল স্টেশন এলাকার কয়েকজন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে কুড়িগ্রামের ট্রেন। লাইনের মাঝে পুরনো স্লিপার, পুরনো কাঠ ও পাথরবিহীন রেললাইনে চলে ট্রেন। তাছাড়াও ব্রিজগুলোর অনেকটাই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক জায়গায় নেই কোন নাট বল্টু এবং কোথাও কোথাও ব্রিজে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে লম্বা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে। ট্রেন চলে ধীরগতিতে এবং অতি সাবধানে। কয়েকজন যাত্রী জানায়, কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনে সীমানা প্রাচীর না থাকায় রাতে যাত্রীদের বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়। রেল পুলিশ থাকলেও পরিমাণে অনেক কম। কুড়িগ্রাম স্টেশন মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রাম রুটে রংপুর বিভাগীয় শহর হয়ে ঢাকা যায় কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন। প্রতিদিন এ ট্রেনে যাতায়াত করে শত শত যাত্রী। রেল যোগাযোগে সময় অপচয় ও রেললাইনের সমস্যার কারণে ট্রেন বিমুখ হওয়ার আশঙ্কা এ অঞ্চলের মানুষের। লালমনিরহাট ডিভিশন, প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান কুড়িগ্রামের রেললাইন দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার হয়নি। তিস্তা কুড়িগ্রাম রেললাইনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। আগামী তিন চার মাসের মধ্যে সব ট্রেন লাইন সংস্কার সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারীর রমনা বাজার পর্যন্ত ডুয়েল লাইনের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
×