ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা দাবি

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা দাবি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ দেশ ও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে সারাদেশে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। শহীদ মিনারে নামে মানুষের ঢল। স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও একটি অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে শুক্রবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ফুলে ফুলে ঢাকা পড়ে শহীদ বেদি। দিবসের প্রথম প্রহর থেকে দিনভর ছিল নানা অনুষ্ঠান। এ সকল আয়োজন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার শপথ উচ্চারিত হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় একুশের আনুষ্ঠানিকতা। সিএমপির একটি চৌকস দলের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর সূচনা হয়। প্রথমে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এর পর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও কাউন্সিলররা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ সালাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মোঃ মাহবুবর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেনসহ একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল, কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল, ইস্ট ডেল্টা ইউনির্ভাসিটি, সাউদার্ন ইউনির্ভাসিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। খুলনা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারী দফতর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দল, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কর্মসূচীর মধ্যে প্রথম প্রহরে কুয়েটের শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। রাজশাহী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবসের প্রথম প্রহর থেকে শহীদ মিনারগুলোতে ভিড় জমাতে থাকেন জনতা। শুক্রবার সকালে প্রভাতফেরি নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ঠেকে জনতার স্রোত। একুশের প্রথম প্রহরে রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমানসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এরপর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এখানে আলাদাভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার ও রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহিদুল্লাহ প্রমুখ। নগরীর ভুবনমোহন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন। এ সময় বিএফইউজের সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, সহ-সভাপতি শরীফ সুমন, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এখানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সিলেট ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে, এ সময় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সিলেট সিটি কর্পোরেনের মেয়র, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা পরিষদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইমজা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনী, সিলেট জেলা শাখার পক্ষে বাবু অনিল তালুকদার, সঞ্জীব চক্রবর্তী, ডাঃ হিরণ মোহন দেব, হাজী আবদুস সালাম, আশুমোহন ঘোষ, কৃষ্ণকান্ত সরকার, রামানন্দ দাস প্রমুখ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদসহ অন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দিনভর আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। বগুড়া রাত ১২ টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সরকারী বেসরকারী সকল ভবন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। জিলা স্কুল, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলসহ সকল সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরির ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সকাল দশটায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মিনার চত্বরে বইমেলাকে ঘিরে বিকেল থেকেই শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কুমিল্লা প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় এমপি হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ, জেলার আসাদুর রহমান, সরকারী-বেসরকারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পাবনা রাত ১২টা ১ মিনিটে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসনের পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর ভোর থেকে পাবনা প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ড্রামা সার্কেল, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাষা শহীদ স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জায়েদুল আলমসহ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদলসহ নেতাকর্মীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন স্মিথের নেতৃত্বে সাংবাদিকবৃন্দ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় শহীদ মিনার। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবলীগ, যুবদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মুন্সীগঞ্জ রাত ১২টার পরে বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচী। শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রভাতফেরি বের হয়। এই প্রভাতফেরি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এসব আয়োজনে অংশ নেন এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল প্রমুখ। এছাড়াও গজারিয়া, টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলায় বিস্তারিত কর্মসূচী পালিত হয়। রংপুর রাত বারোটা এক মিনিট থেকে ভাষা সৈনিক পরিবার, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়র, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ, ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, টিসিএ রংপুরসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সাতক্ষীরা রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদন করেন। শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাতক্ষীরা সদর সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মফিজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি বের করা হয় এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মাগুরা রাত ১২টা ১ মিনিটে সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা ও দায়রা জজ কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম , জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কু-ু, পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজোয়ানসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটি, স্বাস্থ্য বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, এলজিইডি, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, টাউন হলক্লাব ,আদর্শ কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজসহ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সিরাজগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে মুক্তির সোপানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, জাসদ, চেম্বার অব কমার্স, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আলোচনাসভার আয়োজন করে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাতফেরি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্য উপজেলাতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবস পালিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা পরিষদ, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ, আনসার ব্যাটালিয়ন, জেলা কারাগার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, জেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগ, কৃষি সম্প্রকারণ অধিদফতর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ভোলা একুশের প্রথম প্রহরে শুরু হয় পুষ্পস্তবক অর্পণ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, কোস্টগার্ড, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন পুষ্পমাল্য দিয়ে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্ব¡ালন করে দিবসের সূচনা করেন নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী, শতদল, স্বাবলম্বী, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতর, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুর রহমানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান। বরিশাল রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মন্ত্রী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, মেট্রোপলিটন পুলিশর কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম এহসানউল্লাহ, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিজ নিজ দফতর ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নীলফামারী বাঙালীদের পাশাপাশি শ্রদ্ধা-ভালবাসায় শহীদ মিনারে ডেনিস বাংলাদেশ লেপ্রসী মিশনের বিদেশীরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। প্রভাতফেরিতে অংশ নেয় নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ, টিআইবি সনাক, উদীচী, ভাওয়াইয়া একাডেমি, পিটিআই, সরকারী কলেজ, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, টাউন ক্লাব, ভিশন-২০২১ জেলা যুবলীগ, কৃষক লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ প্রমুখ। এর আগে অমর একুশের প্রথম প্রহর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে মহান ভাষা শহীদদের। মধ্যরাতের পর মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার। রাত ১২টা ১ মিনিটে নীলফামারীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোকলেছুর রহমান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভাষা শহীদ পরিবার, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন মহান একুশের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নওগাঁ প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পু®পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা ঘোষণা করা হয়। এসময় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর রশীদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বী বকু, সিভিল সার্জন ডাঃ আশরাফুল ইসলাম, নওগাঁ সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মনির আলী আকন্দ, চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, পৌরসভা, জেলা প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ ও সংগঠন শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জয়পুরহাট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার সালাম কবির। এর পর একে একে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জয়পুরহাট প্রেসক্লাব, অগ্রণী ব্যংক অফিসার্স ও কর্মচারী ইউনিয়ন, মেয়র জয়পুরহাট পৌরসভা, জয়পুরহাট পৌরসভা কর্মচারী ইউনিয়ন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ। রাঙ্গামাটি ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পরপর পুলিশ সুপার, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ড শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাত্তব্বরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং জেলা বিএনপি সভাপতি হাজি শাহালমের নেতৃত্বে বিএনপি পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর জেলার বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসটির কর্মসূচী। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর, সুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, বিচার বিভাগ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জেলা জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কুড়িগ্রাম রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাফর আলীসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। লক্ষ্মীপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এএসএম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র মোঃ আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। ফেনী সকাল ১০টায় ভাষা শহীদ আবদুস সালামের গ্রামের বাড়ি দাগনভুঞার সালাম নগরের মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রসাশক মোঃ ওয়াহিদুজজামানসহ শহীদ সালামের বড়ভাই আবদুল করিমসহ পরিবারের সদস্যগণ। এখানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। বাগেরহাট শহীদ মিনারের বেদিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, সিপিবি, বিএনপি, প্রেসক্লাব, সওজ, স্বাস্থ্য বিভাগ, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মেয়র খান হাবিবুর রহমান, প্রেসকাব সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সিএস হুমায়ুন কবিরসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। চাঁদপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। প্রভাতফেরি করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঠাকুরগাঁও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এরপর জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রতিনিধি, উদীচীসহ সর্বসাধারণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
×