ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত: ০২:০৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।রাজধানীর মানুষের জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখে এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ইসি। সেখানে ইসির পক্ষ থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাব তোলা হয়। এই প্রস্তাবের সমর্থন দেন অংশ নেয়া প্রার্থীরা। প্রার্থীদের সমর্থন নেয়ার পর সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটা করে অফিস রাখতে পারবেন। এর বাইরে একেবারেই মাইক বাজাতে পারবেন না।’ পোস্টারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ২১ জায়গায় পোস্টার টানাতে পারবেন। আর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে অফিস করবেন, সেখানে পোস্টার টানাতে পারবেন। এর বাইরে কোথাও বা রাস্তা, অলিতেগলিতে পোস্টার টানাতে পারবেন না। আর লেমিনেটেড পোস্টার টানাতে পারবেন না।’ ঢাকা-১০ আসনের জন্য গাড়ি চলাচল উন্মুক্ত করলাম। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল চলবে না বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনে ভোটের দিন অফিস খোলা থাকবে। আমরা সার্কুলার জারি করে দেব, যাতে অফিস থেকে গিয়ে কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারেন।’ নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রতিটি দল পাঁচটি শোভাযাত্রা করতে পারবে। যেখানে সুবিধা সেখানে শোভাযাত্রা করতে পারবেন।’ তবে এই নির্বাচনে কোনো জনসভা করা যাবে না বলেও জানান সিইসি। আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি পরিবর্তন করে এই বিধিগুলো যোগ করা হবে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের জন্য আমরা বিধিই পরিবর্তন করে ফেলব।’ তফসিলের তথ্যমতে, ঢাকা-১০ আসনে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট ৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের দিন ২১ মার্চ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন-আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) কাজী আব্দুর রহীম।
×