ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফকির আলমগীরের জন্মদিন পালিত

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ফকির আলমগীরের জন্মদিন পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের গণসঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম শিল্পী ফকির আলমগীর। গণসঙ্গীতের জাগরণী বাণী দরাজ কণ্ঠের জাদুমাখা সুরের অধিকারী এইশল্পী দেশকে ভালবেসে, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বরেণা এই শিল্পী গত ২১ ফেব্রুয়ারি জীবনের ৭১তম বছরে পার রাখেন। এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাজনৈতিক রাশেদ খান মেনন, কবি আজিজুর রহমান আজিজ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শিল্পী ফকির আলমগীরের সহধর্মিণী সুরাইয়া আলমগীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আনন্দলোকে মঙ্গল আলোকে...’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। অতিথিদের আসন গ্রহণের পর আলোচনার ফাঁকে চলে শুভেচ্ছা জানানো। মানজার চৌধুরী সুইটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করে শিশুসাহিত্যিক ও কবি হানিফ খান। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ফকির আলমগীর তার কণ্ঠের গান দিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ফকির আলমগীর ততদিন বেঁচে থাকবে। হাসান ইমাম বলেন, ফকির আলমগীর আর আমরা এক সঙ্গে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেছি। ফকির আলমগীর গণসঙ্গীত নিয়ে কাজ করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় তুলে নিয়েছেন। কবি আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, শিল্পী ফকির আলমগীর শুধু আমাদের দেশের গণসঙ্গীতকে সমৃদ্ধই করেননি, গণসঙ্গীতকে বাঁচিয়েও রেখেছেন। গড়ে তুলেছেন সংগঠন। তিনি তার কণ্ঠে এবং সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের গণসঙ্গীতকে অনেকদূর এগিয়ে নেবেন। মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, শিল্পী ফকির আলমগীর সাংবাদিকতার ছাত্র হলেও কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন গণসঙ্গীত। যার মাধ্যমে তিনি দেশের আপামর মানুষের মাঝে জড়িয়ে দিয়েছেন সঙ্গীতের মনোহরি সুর। যা তাকে উচ্চাসনে বসিয়েছে। ফকির আলমগীর বলেন, জন্মদিন উপলক্ষে এ ‘আনন্দ আয়োজন’ আমাকে মোহিত করেছে। এমন আয়োজনে আমি গান করতে পারছি এটাও অনেক আনন্দের। আমি ৬০-এর দশক শুরু করে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছি। জগন্নাথ কলেজে পড়া শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স করেছি। গান করেছি। অনেক বড় বড় গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। আমি ধন্য। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, শিল্পী এস ডি রুবেল, রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামানের পক্ষে তার সহধর্মিণী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর পক্ষে নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ ফকির আলমগীরকে শুভেচ্ছা জানান। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর।
×