ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে কাজুবাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা শুনলেন ৩ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেশে কাজুবাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা শুনলেন ৩ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাজুবাদামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। এই কৃষিপণ্যটি রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। দেশের পার্বত্যাঞ্চলেও সম্প্রতি কাজুবাদাম উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাবনার দুয়ার আরও উন্মোচন করতে চান উদ্যোক্তারা। পাহাড়ী এলাকার এক তরুণ উদ্যোক্তা কাজুবাদামের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরলেন তিন মন্ত্রীর সামনে। মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে দেশে এই পণ্যটির সম্ভবনা তুলে ধরেন তরুণ উদ্যোক্তা শাকিল আহমেদ তানভির। তিনি দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারে এই কৃষিপণ্যটি কতটা ভূমিকা রাখছে এবং আগামীতে আরও কি ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে কাজুবাদাম চাষাবাদ ও প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে সরকারী সহযোগিতা পেলে এটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করবে বলেও জানান। এসময় অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে নানা বিষয় জানতে চান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান। পরে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই দেশে প্রতিবছরই ফসলের ক্ষতি হতো। চাল আমদানি করতে হতো। আর আমরা এখন দানাদার খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। প্রধানমন্ত্রীর নানা দিক নির্দেশনায় নানা প্রকল্পে কৃষিতে অনেক এগিয়ে গেছে। পাহাড়ে একসময় শুধু ঝুম চাষ হতো সেখানে এখন কোশুনাট (কাজুবাদাম) ব্লাককফি হচ্ছে। আমাদের দেশে অপ্রচলিত ফসলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে এখন ড্রাগনও হচ্ছে, সবসময় টমেটো হচ্ছে। কি করে দেশে কোশুনাটের চাষ আরও বাড়নো যায় এসব নিয়ে চিন্তা করেছি। মন্ত্রী হওয়ার পর আমরা বিদেশ থেকে বীজ চারাও এনে দিয়েছি। ৭ জন চাষী বিদেশে পাঠিয়েছিলাম এসব চাষ দেখতে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনাম ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক চাষে গিয়ে আজ তারা বিশ্বে এক নম্বর হলে আমরা কেন পারব না।
×