ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুদকের ক্ষমতা কোন কোন উদ্যোগের মাধ্যমে খর্ব করা হয়েছে

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দুদকের ক্ষমতা কোন কোন উদ্যোগের মাধ্যমে খর্ব করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারবিরোধীদের ওপর খড়্গহস্ত হলেও ক্ষমতাসীনদের বেলায় নমনীয়। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও সরকারী কোন কোন উদ্যোগের মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে মত দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির করা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুদকের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ দুদকের ওপর একটি ফলোআপ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ সব তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে দুদকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। স্বাধীনতা ও মর্যাদা, অর্থ ও মানবসম্পদ, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার, অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের, প্রতিরোধ, শিক্ষা, আউটরিচ কার্যক্রম, সহযোগিতা ও বাহ্যিক সম্পর্ক- এই ৬টি ক্ষেত্রের অধীনে ৫০টি নির্দেশককে ভিত্তি করে গবেষণাটি চালায় টিআইবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা বলা হলেও সরকারী কোন কোন উদ্যোগের মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এছাড়া দুদকের ক্ষমতা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল-জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে দুদকের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে সরকারবিরোধী অবস্থান যাদের, তাদের ব্যাপারে দুদক বেশি সক্রিয়। সরকারপক্ষে সেভাবে দুদক সক্রিয় নয়। মাঝেমধ্যে দুদক সরকারী দলের এমপিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন। ওই পর্যন্তই। এরপর আর কোন কিছু দেখা যায় না তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুদকের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার, তার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি খুব যে হয়েছে, তা বলা যাবে না। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে মানুষের আস্থার ঘাটতি রয়েছে। এর সুফল নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও টিআইবির এই বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি নিয়ে কোন কিছু বলা আমাদের এখতিয়ারে নেই। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোন কোন সূচকে দুদকের অগ্রগতি হলেও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
×