ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লিতে সেনা মোতায়েন চাইছেন কেজরিওয়াল

প্রকাশিত: ০১:২৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দিল্লিতে সেনা মোতায়েন চাইছেন কেজরিওয়াল

অনলাইন ডেস্ক ॥ দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবে সৃষ্ট সহিংসতা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য সেখানে সেনা নামানোর পক্ষে আবেদন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ নিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠান তিনি। বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। পরে তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে বিক্ষোভ শুরু হয়।এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। হিন্দুত্ববাদী কপিলের সেই উসকানির পর সহিংসতা নতুন মাত্রা পায়। এতে নিহত হয় অন্তত ২০ জন। আর ৭০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লির মুখমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাতভর অনেক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ। মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানো যায়নি। এ বার সেনা নামানো উচিৎ। ক্ষতিগ্রস্ত সব জায়গায় অবিলম্বে কারফিউ জারি করা উচিৎ। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি আমি।’ কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, এর আগে মঙ্গলবারও দিল্লিতে সেনা নামানোর পক্ষে দাবি জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেসময়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেনার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের পক্ষে মত দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবের পর অমিত শাহের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেছেন কেজরিওয়াল। তবে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, সহিংসতা ঠেকাতে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দিল্লি সরকার। এমনকি শান্তির আহ্বান জানানো ছাড়া, সহিংসতা নিয়ে কোনও মন্তব্যও করতে দেখা যায়নি তাকে। এসব কারণে রাজনৈতিক মহলে তো বটেই দলের ভেতরেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে। ওই দিনও সেনা নামানোর পক্ষে আবেদন করলেও, দিল্লি পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে যে ব্যাপক অভিযোগ উঠে আসছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
×