সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ইদলিব প্রদেশে দেশটির সরকারী বাহিনীর বিমান হামলায় ৩৪ তুর্কী সেনা নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর পর সিরিয়ায় তুর্কী সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় এটাই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা। শুক্রবার হাতাই প্রদেশের গবর্নরের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে। এএফপি।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও দেশটির মিত্র রাশিয়া ২০১৮ সালের অস্ত্রবিরতি সীমানা অগ্রসর না হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইদলিবমুখী অভিযান শুরু করেছে। যেখানে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ১০ লাখ বেসামরিক মানুষ ঘর ছাড়া হয়। যাদের অধিকাংশই শিশু। সিরীয় হামলার পর দেশটির সরকারী লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে তুরস্ক। হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ‘তুর্কী বাহিনীর এ হামলা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা ন্যাটোর মিত্র তুরস্কের পাশে আছি। সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত বাহিনীর নিন্দনীয় অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানাই আমরা।’ এর আগে হাতাই প্রদেশের গবর্নর জানিয়েছিলেন সিরীয় বাহিনীর হামলায় ২২ তুর্কী সেনা নিহত হয়েছেন। এমন সংবাদের পর পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইদলিবের পরিস্থিতি নিয়ে দুই ঘণ্টার জরুরী নিরাপত্তা বৈঠকে বসেন। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চল ইদলিবে তুরস্কের ১২টি পর্যবেক্ষণ চৌকি রয়েছে। ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এসব চৌকি স্থাপন করে তুরস্ক। সেই সময় রাশিয়া-তুরস্কের এই চুক্তিতে সমর্থন জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গতমাসে ইদলিবে সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর হামলায় তুরস্কের অন্তত ১৩ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর আঙ্কারা ব্যাপক সামরিক জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। ফলে ৯ বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: