ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাস অনুসন্ধানে মহাস্থানগড়ের কাছে ভাসুবিহারে প্রত্ন খনন শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  ইতিহাস অনুসন্ধানে মহাস্থানগড়ের কাছে ভাসুবিহারে প্রত্ন খনন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া অফিস ॥ প্রাচীন ইতিহাসের পাতায় খননে খুঁজে পাওয়া উচ্চ শিক্ষার বাতিঘর বগুড়ার ভাসুবিহারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের উদ্যোগে ও অর্থায়নে খনন কাজ শুরু হয়েছে। দেশের প্রাচীন নগরী বগুড়ার মহাস্থানগড়ের চারধারে অন্তত ১১ কিলোমিটারজুড়ে যে প্রত্নসম্পদ মাটির নিচে লুকিয়ে আছে ভাসুবিহার তার অন্যতম। মহাস্থানগড় থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গত শতরের শেষের দিকে ভাসুবিহারে প্রত্ন খননে বৌদ্ধদের নির্মিত উচ্চতর বিদ্যাপীঠ উদ্ঘাটিত হয়। সেই থেকে ভাসুবিহারকে মহাস্থানগড়ের মতোই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। খননে প্রাচীন অবকাঠামো থেকে পুরাকীর্তির গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন (প্রত্নসম্পদ) পাওয়া যাচ্ছে। যা ইতিহাস অনুসন্ধানে বড় ভূমিকা রাখবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জানান,মহাস্থানগড় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়ার অপেক্ষায়। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের প্রত্নস্থানগুলো সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্ন খননে অধিকতর গুরুত্বের ধারাবাহিকতায় ভাসুবিহারে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে প্রত্ন খনন শুরু হয়েছে। চলবে অন্তত একমাস। খননে প্রাচীন অলঙ্কৃত কম ডেপথের ইট,কালো মাটির মৃৎ পাত্রের টুকরো, প্রদীপদানি ইত্যাদি পাওয়া গেছে। ভাসুবিহারের অবকাঠামোর নক্সা উচ্চতর বিদ্যাপীঠ,প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভবনের প্রমাণ দেয়। মহাস্থানগড়কে ঘিরে এ পর্যন্ত ইতিহাসের বারোটি কাল উদ্ঘাটিত হয়েছে। খননে পাওয়া পুরাকীর্তির রাসায়নিকসহ কয়েকটি পর্যায়ে পরীক্ষার পর ইতিহাসের কাল নির্ধারণ, শাসন ব্যবস্থা ও মানুষের জীবনাচরণের ইতিবৃত্তের ধারণা পাওয়া যায়। আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানার নেতৃত্বে খননে অংশ নিয়েছেন দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকগণ।
×