ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বার্ষিক আয়োজন মুক্তির উৎসব

প্রকাশিত: ১০:১৩, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বার্ষিক আয়োজন  মুক্তির উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উৎসব আমেজে মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ভাষার মাসে নাচ-গান-কবিতায় বাংলা ও বাঙালীর ‘মুক্তির উৎসব’। খুদে শিক্ষার্থীদের এ মিলনমেলায় যোগ দিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। শুনিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষা কর্মসূচীর অধীনে বিগত বছরে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর চেতনা নবীনের প্রেরণা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার ঊনবিংশতিতম বার্ষিক মুক্তির উৎসব ২০২০’র আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে (জিমনেসিয়াম মাঠ) সকালে মুক্তির উৎসবে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী-সাহিত্যিক-সঙ্গীতশিল্পী, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রায় পনেরো হাজার ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত এ উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালীর মুক্তিসংগ্রাম একটি নতুন অধ্যায়ে উপনীত হয়েছিল। তিনি তার ভাষণে এই বার্তাই দেন, বাঙালী সাংবিধানিক পথেই চলবে, তবে যখনই শাসকগোষ্ঠী সংবিধান লঙ্ঘন করবে তখনই বাঙালী সর্বাত্মকভাবে বৈপ্লবিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর প্রেরণা ও দার্শনিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ ভাষণের রাজনৈতিক তাৎপর্য আর উপস্থাপনাশৈলীর অপূর্ব সমন্বয়ের কারণে এটি একটি বৈশ্বিক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এই অনবদ্য ও স্বতঃস্ফূর্ত সম্মোহনী ভাষণটি শুধু বাঙালীর নয়, তৃতীয় বিশ্বের সব সংগ্রামী জনতার সংগ্রামী কণ্ঠেরই প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি অত্যন্ত মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। এটি নিয়ে যথাযথভাবে চর্চা করলে মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে কোন অস্পষ্টতা থাকবে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জাগ্রত থাকবে। ব্যান্ড বাদনে অংশ নেয় ভাষানটেক স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্কাউট ও গার্লস গাইড দল। পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। একই সঙ্গে নালন্দা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে জাতীয় সঙ্গীত ও দেশের গান।
×