ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে চায়ের দোকানে এখনো মধ্য রাত পর্যন্ত জমিয়ে চলে আড্ডা !

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৮ মার্চ ২০২০

বাউফলে চায়ের দোকানে এখনো মধ্য রাত পর্যন্ত জমিয়ে চলে আড্ডা !

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেনি গ্রামগঞ্জে। এখন মধ্য রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন রাজধানী থেকে আশা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রচার-প্রচারনা চালালেও গ্রামের মানুষ তা কর্ণপাত করছেননা। কয়েক দিন আগে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি গ্রামের (২৫) নামের এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ শনাক্ত করতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১জন ডাক্তার ও ১জন এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ ২৭ প্রবাসী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাড়ীগুলো চিহ্নিত করতে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং স্থানীয়দের ওই সব বাড়ি এড়িয়ে চলার জন্য শতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তারপরেও গ্রাম গঞ্জের হাটবাজারে চায়ের দোকানে অনেক রাত পর্যন্ত চলে আড্ডা । একটি চয়ের কাপে মুখ রাখছেন অনেকে। কার মুখ থেকে কার শরীরের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরছে তা টের পাচ্ছেননা! শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বড় বড় প্লাজা বন্ধ রাখা হলেও কিছু দোকান খোলা রেখে বিকি কিনি চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করলেও উপজেলার অন্যান্য হাট বাজারগুলো রয়েছি অরক্ষিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, তিনটি স্তরে কর্মকর্তারা কাজ করছে, দুইয়ের অধিক ব্যক্তি যাতে একত্রিত না হয়। চায়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চারটি আইসোলশন বেড তৈরী করা হয়েছে রোগীদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আর নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে চাল ডাল আলু তেল পেয়াজ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ কে প্রশাসন যে ভাব সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপদে যেতে বাধ্য করলেও সেই তুলনায় বাউফলের গ্রামগঞ্জের চিত্র ভিন্ন। অসচেতন মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পুরো উপজেলাই করোনার সংক্রামন ছড়িয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
×